১৫ তম বিবাহবার্ষিকী।
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ
আল্লাহর কাছে লক্ষ কোটি শুকরিয়া।আজ আমাদের ১৫ বছর পূর্ণ হল বিবাহর।আমাদের ১৫ তম বিবাহবার্ষিকী ও ২২ বছরের সম্পর্ক।আমাদের ভালবাসাটা শুরু হয় সেই ছোট্টবেলা থেকেই।আজকের এই দিন আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় দিন।আমাদের বিশুদ্ধ ভালোবাসার আনন্দ এবং বেদনার স্মৃতিগুলো,আমাদের ভালোবাসাকে অনুরক্ত ও সমৃদ্ধ করেছে।আমার জীবনে এই দিনটা অতি মূল্যবান,যা আমি গভীরভাবে মূল্যায়ন করি।শুধু তোমার জন্য আয়েশা।
আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা রুম : আয়াত ২১
‘তারা (স্ত্রীগণ) তোমাদের পোশাক এবং তোমরা (স্বামীগণ) তাদের পোশাকস্বরূপ`। (সূরা বাকারা : আয়াত ১৮৭)
‘হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারাই স্ত্রীর অধিকার আদায়ে সামর্থ্য রাখে, তারা যেন অবশ্যই বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।’ (বুখারি)
"বিশ্বে যা কিছু সৃষ্টি চির কল্যাণ কর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর"
কাজী নজরুল ইসলাম।
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রুপে শত বার জনমে জনমে,যুগে যুগে অনিবার। চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়ে গাঁথিয়াছি গীতহার।কত রূপ ধরে পরেছো গলায়,নিয়েছো সে উপহার,জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
তুমি আমার জীবনের শুরু
তুমি আমার জীবনের শেষ
শুরু থেকে শেষ
আর কিছু নাই
তুমি শুধু তুমি
তুমি শুধু তুমি।
কিশোর বেলা থেকে ভালোবাসি তোমাকে,আজোও ভালবাসি। আর যতদিন বাঁচবো শুধু তোমাকে ভালোবেসে যাবো।পৃথিবীতে সুখ বলে যদি কিছু থেকে থাকে তার নাম ভালবাসা তার নাম প্রেম।জ্বলে পুড়ে মরার মাঝে যদি কোন সুখ থাকে তার নাম ভালবাসা তার নাম প্রেম।শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে।কত সাধনায় এমন ভাগ্যে মিলে।দীর্ঘ ৭ বছর আমাদের সম্পর্ক ছিল।এই ৭বছরে আমি ২টা চিঠি দিয়েছি, আর সে ২টা চিঠি উত্তর দিয়েছে। ৭বছরে শুধু মাত্র ৪টা চিঠি আদানপ্রদান হয়েছে।তারপর যখন সিলেট চলে আসি।তখন তার কথা খুব বেশি মন পড়তো।সারাবেলা শুধুই তার কথা ভাবতাম।
তুমি চোখের আড়াল হও,
কাছে কিবা দূরে রও।
মনে রেখ আমিও ছিলাম,
এই মন তোমাকে দিলাম।
এই প্রেম তোমাকে দিলাম।
তোমার আগে আর কেউ নেই
তোমার পরেও আর কেউ নেই
যেখানেই যায় যেদিকে তাকায়
♪শুধু তুমি শুধু তুমি♪
ভাই নায়ক সালমান শাহ্
একি প্রেম শিখাইয়া গেলা!!!
সেই ৭ বছর আমাদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।এই দীর্ঘ সময়ে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে।আমরা দুজন দুজনকে অনেক ভালবাসি। আমাদের এই ভালোবাসা মাপার কোন ফিতা নাই।গভীরতা দেখার কোন যন্ত্র নাই।যদি সব সাগরের জল কালি হতো,যদি পৃথিবীর সব গাছ লিখনি হতো।আর সারাটা জীবন লিখে যেতাম,তবো তোমার আমার প্রেমের কথা লেখা শেষ হতো না।কইলজার ভিতর গাতি রাইখুম তোমারে,সিনার লগে বান্ধি রাইখুম তোঁয়ারে ও আয়েশা রে।
♥পাথরে লিখিনি ক্ষয়ে যাবে
কাগজে লিখিনি ছিঁড়ে যাবে
লিখিছি নামটি তোমার
ও হো হৃদয়ে আমার♥
তোমারি পরশে জীবন আমার ওগো ধন্য হলো,তুমি যে আমার চির আশার আলো।তুমি আছো সারাক্ষণ আমার প্রাণে,স্বপ্ন ভরানো মান-অভিমানে।তোমারি মমতা আমার সকল আশা রাঙ্গিয়ে দিলো।তুমি যে আমার চির আশার আলো।তুমি মোর জীবনের সুখের গীতি,হইও না কখনো তুমি দুঃখের স্মৃতি। আমারি সাধনায় তোমার মনের মাঝে ঠাই যে পেলো।তুমি যে আমার চির আশার আলো।
তুমি মোর জীবনের ভাবনা হৃদয়ের সুখের দোলা।নিজেকে আমি ভুলতে পারি,তোমাকে যাবে না ভুলা।কি করে তাকে ভুলবো,সে যে আছে আমার হৃদয়ের হৃদয়ে।আয়েশাকে নিয়ে অনেক বছর বাঁচতে চাই।ভালোবাসা যতো বড় জীবন তত বড় নয়।তোমায় নিয়ে হাজার বছর বাঁচতে বড় ইচ্ছে হয়।একই সাথে হাত ধরে একই পথে চলবো।একই প্রাণে মিশে গিয়ে একই কথা বলবো।
পাড়া-পড়শির খুঁচা কথা কত শুনিলাম।যায় যাবে কুলমান যাবে প্রাণ গেলেও ভালা।আমি সাধ করে পরেছি গলে শ্যাম কলষ্কের মালা।শাহ্ আব্দুল করিম।
♥আয়েশা♥সাথী তুমি আমার জীবনে।সাথী তুমি আমার মরণে।সাথী রে সাথী রে।লাগবো তোমায় দুটি চোখের তাঁরাতে,দেবোনা যে তোমায় কভু হারাতে।বুকের মাঝে যেমন করে থাকে প্রাণ, তেমনি তুমি থেকো বুকে আমার জান।তুমি আমার সুখের চাওয়া-পাওয়া যে।সারা মনে প্রেমের ফাগুন হাওয়া যে।তোমায় পেয়ে পেলাম সারা দুনিয়া,চির দিনের তুমি আমার ও প্রিয়া।
কত বড় ভাইয়ের মার খেলাম।কত দৌড় দৌড়লাম।কত কষ্ট আমি করেছি।এরকম কষ্ট কেউ করেনি।
এতো কষ্টের পরও,যেদিন বিয়ে করবো।সেই দিন আরো যে কত বিপদ এসে পড়লো।
মুখে মুখে রটে যাবে,
আমাদের প্রেম কাহিনী।।
অবাক হয়েই দেখবে দুনিয়া
করবে সবাই কানাকানি।
মুখে মুখে রটে যাবে,
আমাদের প্রেম কাহিনী।
এলাকার কিছু মানুষ বলাবলি করলো আমি নাকি তাকে জোর করে বিয়ে করতেছি।যদি জোর করে কিংবা পালিয়ে বিয়ে করতাম,তাহলে ২০০৪ সালে করতে পারতাম। ২০০৪ সালে আমার খালা সামছুন নাহার,আমাকে ফোন করে বলেছে।আয়েশার নাকি বিয়ে,এই কথা শুনে আমার মনে হলো আকাশ যেনো আমার মাথায় পড়লো। আমি গেলাম আমার স্যারের কাছে।স্যারকে গিয়ে বললাম,স্যার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।স্যার আমার চেহারা দেখে সবকিছু বুঝে গেছেন।স্যার আমার এই প্রেমের কথা জানতো।শুধু স্যার নয়,এই ছাত্রাবাসের সবাই জানতো।স্যার আমার হাতে ৫০০টাকা দিয়ে বললো যা তুই,কোন সমস্যা হলে মিস কল দিস।বাড়িতে গিয়ে শুনি তার মা ডিগজান গেছে বিয়ে ঠিক করতে।আমি কত মানুষ দিয়ে খবর দিলাম আয়েশা আমার সাথে দেখা করার জন্য।কিন্তু আয়েশা দেখা করতে আসেনা।আমি তার বিয়ের খবর শুনে পাগলের মত ছুটে আসলাম।গেলাম সামছুন নাহার খালার কাছে।বললাম আমি তোমার কথা শুনে সিলেট থেকে আসলাম।এখন আয়েশা আমার সাথে দেখা করে না।খালা বললো তুই তোর মামাকে ফোন দে।মামা মানে আমার এই খালার স্বামী।মামা তখন সেনাবাহিনীতে চাকুরী করতো।দিলাম মামাকে ফোন,মামা প্রথমে খুব বকাবকি করলো।তারপর বললো তুই তারে নিয়ে পালিয়ে যা।আমি বাড়িতে এসে যা করার করবো। মামার কাছ থেকে সাহস পেলাম।কিন্তু যাকে নিয়ে পালাবো,সে তো আসে না।আমি রাগ করে রফিক মামার বউ এর কাছে বললাম আমি সিলেট চলে যাবো। মামি গিয়ে আয়েশাকে এই কথা বলছে।এই কথা শুনে মামিকে বলছে যে সে আমার সাথে মামি তারা বাড়িত দেখা করবে।আমি আগে গেলাম তারা বাড়িত।কিছুক্ষণ পর আয়েশা আসলো।
আয়েশাঃ তুমি ক্যারে খবর দিছো?
আমিঃ ক্যারে তুমি জানো না।
আয়েশাঃ তুমি তো ছেরা,যদি ছেরি হইতা তুইলে বুঝতা।কি লাইগা খবর দিছো কও?
আমিঃ আও বাইগা যাইগা।
আয়েশাঃ না,আমি এমন করে বাইগা যাইতাম না।বাপ-মা আমারে কষ্ট কইরা লেখা-পড়া করাইতাছে,আমি এমনে যামু ক্যামনে।
আমিঃ নাইলে তো আমি তোমারে পাইমু না।
আয়েশাঃ তুমি কোন চিন্তা কইরোনা, আমি তোমার আছি,আর থাকমু।আমি আমার বাপ-মারে বুঝামু।তুমি তোমার কাজ-কাম কর গিয়া।
আমিঃ তোমার বাপ-মা রাজি হলে কল দিও।
এরপর কেটে গেলো ২০০৫ সাল।ঝড়- তোফান তো আমাদের উপর দিয়ে যাইতেছে।এর মাঝে মামা সেনাবাহিনী থেকে অবসরে চলে আসেন।বাড়িতে এসে মামা ডেকোরেশন এর দোকান দেন।তারপর এই মামাই ২০০৬ সালে আমার বিয়ের সব ব্যবস্থা করেন।ওনার ডেকোরেশন এর মাইক,চেয়ার,টেবিল,প্লেট,বাটি,গেইট সাজানো যাবতীয় সবকিছু দিয়ে আমাকে সাহায্য করেছে। এমন কি টাকা দিয়েও সাহায্য করেছেন।মামার এই ঋণ আমি কোনদিনও শোধ করতে পারবো না।যেদিন আমি বিয়ে করবো,সেদিন আরো কত বিপদ যে এসে পড়লো।
এই নিয়ে কত কি।সেদিন মহিলা মেম্বার বাড়িতে আসছিল।তখন আয়েশাকে বললো তুমি কি এই বিয়েতে রাজি নি।তখন আয়েশা লিখিত দিলো,আমার ইচ্ছায়,আমি স্বজ্ঞানে বিয়ে করছি,আরো অনেক কিছু লিখে দিয়েছে।আরো অনেক ঝড়-তোফান এসেছে সেই দিন।যাই হোক,অবশেষে আমরা পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
আজকের এই দিন শুধু এই দুজনার,আর কারো দিন এতো নয়।তোমার আমার প্রেম আজকের এই দিনে জানালো যে তার পরিচয়। সেই দিন তাকে পেয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে।সাগরের ঢেউ বলে তীর পেয়েছি।আকাশের পাখি বলে নীড় পেয়েছি।এই মন বলে আমি সুখি হয়েছি।একদিন দুটি চোখে স্বপ্ন ছিল,তোমাকে পেয়ে তা সত্যি হল।একদিন এ জীবনে আশা ছিল,তোমাকে পেয়ে তা পূর্ণ হল।আর কোন চাওয়া নেই,আর কোন পাওয়া নেই,সবি যেন পেয়ে গেছি।জীবনে যে এতো সুখ জানা ছিল না,মরণেও তুমি মোরে ছেড়ে যেওনা।বন্ধন খুলে কভু যেও না কো,চিরদিন আমাকে বুকে রেখো।আর কথা বলা নেই,আর পথে চলা নেই,ঠিকানা যে খুঁজে পেয়েছি।
প্রেমের কাহিনী শেষ।এবার সংসার। সংসার যে করে সে বুঝে সংসার কি।সবাই মিলেমিশে ভালোই চলছে।২০০৯ সালে আমি ছেলের পিতা হলাম।ছিল আমার ২ পা,তার পর ৪ পা,৬ পা।সংসারের খরছ বাড়লো।কিন্তু আমার বেতন তো আর সেই ভাবে বাড়লো না।তাই মাঝে মধ্যেই পরিবারের কথা-বার্তা শুনতে হতো।যে কোন কারণেই হোক পরিবার থেকে আমাকে পৃথক করে দিলো।এখানেই শেষ নয়।পৃথক করার ২ বছর যেতে না যেতে বাড়িত থেকে বাহির করে দিয়েছে আমাকে।এখন আমি বাড়ি ছাড়া।আমার অপরাধ কি?আমার অপরাধ হল আমি প্রেম করে বিয়ে করেছি।আমি এতো ভালো চলছি।ভালো চলা আমার অপরাধ।
আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা, আমি বাধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
যে মোরে করিল পথের বিবাগী;
পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি;
দীঘল রজনী তার তরে জাগি ঘুম যে হয়েছে মোর;
আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা, আমি বাধি তার ঘর ।
আমার একুল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার কুল বাধি,
যে গেছে বুকেতে আঘাত হানিয়া তার লাগি আমি কাঁদি;
সে মোরে দিয়েছে বিষ ভরা বান,
আমি দেই তারে বুক ভরা গান;
কাটা পেয়ে তারে ফুল করি দান সারাটি জনম ভর,
আপন করিতে কাদিঁয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর ।
মোর বুকে যেবা কবর বেধেছে আমি তার বুক ভরি,
রঙ্গীন ফুলের সোহাগ জড়ান ফুল মালঞ্চ ধরি।
যে মুখে সে নিঠুরিয়া বাণী,
আমি লয়ে সখী, তারি মুখ খানি,
কত ঠাই হতে কত কি যে আনি, সাজাই নিরন্তর,
আপন করিতে কাদিয়া বেড়াই যে মোরে করিয়াছে পর ।
জসীমউদ্দীন।
বড় সাধ করে গো সখি পিরিত করেছি
আমি এ-কুল সে-কুল দুকুল ছেড়ে
বন্ধের প্রেম সাগরে ভেসেছি....।
শাহ্ আবদুল করিম।
সুখে-দুঃখে জনম জনম ওগো সাথী তুমি যে আমার। তোমায় ছাড়া আয়েশা আমি চাইনা কিছুই আর।তুমি যে আমার।
এই ভালবাসা বেঁচে থাকবেই,এই ভালবাসা বেঁধে রাখবেই।সুখের স্মৃতির মত হারিয়ে গেলে,পিছন থেকে সে তো ডাকবেই।
এই দুঃখের সময় আমার আপন জন কেউ পাশে ছিলো না।আয়েশা আমার সুখে-দুঃখের সাথী।
কোন কালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারী,প্রেরণা দিয়েছে,শক্তি দিয়েছে,বিজয় লক্ষ্ণী নারী।কাজী নজরুল ইসলাম।
আগামীকাল আপনার জীবনে কী ঘটতে যাচ্ছে তা কেউ যানে না। তারপরেও এই অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের কল্পনার শেষ নেই। আর এই কল্পনা মাঝে মাঝে গিয়ে দাঁড়ায় চিন্তা আর জীবনকে কঠিন করার মাধ্যম। তাই আপনি ঠিক যে দিনটিতে অবস্থান করছেন সেই দিনটি মন ভরে উপভোগ করুন। দেখবেন কঠিন সময় আর আপনার কাছে কঠিন লাগছে না।
যদি কোনো মানুষের সাথে আপনার আজীবন থাকতে ইচ্ছে করে,তাহলে সেটা হচ্ছে ভালোবাসা।আর যদি সেরকম ইচ্ছে না আসে তাহলে ব্যাপারটা ছিল প্রেম।প্রেমটা হচ্ছে ড্রাগের মতো,ভালোবাসাটা অমৃতের মতো।এই কারণে যার প্রেম হয় তার শুধু প্রেমই হয়।একটা পর একটা চলতেই থাকে।একটা পথ বন্ধ হলে আরেকটা সে নিজেই খুঁজে নেই।তবে ভালোবাসার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন।একটা পথ বন্ধ হলে সে আবার সেই পথেই বারবার ফিরে যায় আর এই ফিরে যাওয়ার অনুভূতিটায় মানুষ প্রেম করে পেতে চাই।ভালোবাসা হচ্ছে পবিত্র জিনিস।এর মধ্যে নেই কোনো বৈধ-অবৈধ এর বাধা।দুই অক্ষরের "প্রেম" বিসর্জন দিয়ে আহরণ করুন চার অক্ষরের "ভালোবাসা" আপনার মস্তিষ্কের মধ্যে এই বাক্যটি রেখে দিন।সুস্থ জীবন যাপন করতে এটিই যথেষ্ট।
ভালবাসা যুগে যুগে,ভালবাসা সুখে-দুঃখে।ভালবেসে বুকে ধরে রাখবো।তোমাকেই ভালবেসেই মরবো।
এই জীবন তোমাকে দিলাম বন্ধু,তুমি শুধু ভালোবাসা দিও।সুখের চেয়েও সুখ তুমি যে আমার, প্রিয় থেকেও তুমি বেশি প্রিয়।চোখ ভরে দেখেছি অন্তরে রেখেছি, আরো চাওয়া আরো পাওয়া রয়েছে বাকি।তোমাকে চেয়েছি তোমাকে পেয়েছি,মরণ হলেও যেনো তোমারি থাকি। জান বলে জেনেছি প্রাণ বলে মেনেছি, মন বলে তুমি যে তার চেয়ে দামি।তুমি ধরা দিয়েছো কাছে টেনে নিয়েছো,নতুন জীবন যেনো পেয়েছি আমি।সুখের চেয়েও সুখ তুমি যে আমার, প্রিয় থেকেও তুমি বেশি প্রিয়।
বাবা-মা,ভাই-বোন তারা আবার আমাকে বাড়িতে নিয়ে আনে।২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত।আমি পৃথক হয়ে আমরা দুজনে যা করেছি।সৌর বিদ্যুৎ(সোলার) ২৫০০০/-ফ্রিজ ২৫০০০/-ভিট পাকা ২৭০০০/-টিবি ১৫৫০০/-খাট ৯০০০/-ডাইনিং টেবিল ১২০০০/-গ্যাস সিলিন্ডার ৫৪০০/-সুকেশ ৬০০০/-গরু ৩৩০০০/-সেলাই মেশিন ৫০০০/-বাবার অপারেশন ১০০০০/-আর প্রতিমাসে পরিবারকে ও টাকা দিতে হতো।একটা সংসার চালাতে কম লাগেনি।পরিবার থেকে আমি কোন কিছু পাইনি।আজ কত কি কিনলাম।তার সাথে সাথে আমারও যা শখ ছিল,তাও আমি পূরণ করেছি।ট্যাপ,ভিসিডি,মোবাইল,আই ফোন,ল্যাপটপ কম্পিউটার।,3g,4g মোবাইল। যখন আমি মোবাইল কিনি,তখন আমি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে আমার মোবাইল নাম্বার দিতাম।আল্লাহতালা আমার সব শখ পূরণ করেছেন। আমি টিলাগড় মেস থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা ইনকাম করছি।আড়াই বছর ছিলাম সেখানে।মেসের সবার কথা আমার আজীবন মনে থাকবে।তবে অনেক কষ্ট হয়েছে আমার।অনেক পরিশ্রম করে আজ আমি এই অবস্থানে এসেছি।কি রকম পরিশ্রম করেছি,আমার হোষ্টেলের সহকর্মী তারা জানে।আজকে এতো কিছু করার পিছনে যার সবচেয়ে বেশি অবদান সে হল আমার প্রিয়তমা আয়েশা।এতো কিছুর কৃতিত্ব শুধুই তার।আমি শুধু মাস শেষে কয়েকটা টাকাই দিয়েছি।সব কিছু আয়েশাই করেছে।
আমার জীবন ধন্য তার মত একজন জীবন সঙ্গী পেয়ে।
আমি ধন্য হয়েছি ওগো ধন্য, তোমারি প্রেমের জন্য।তোমারি পরশে জানি ওগো সোনা বউ জীবন হলো যে অনন্য।কপাল জুড়ে একেঁ দিলে সুখের জয়ও টিকা,আধার ঘরে জ্বেলে দিলে আলো প্রদীপ শিখা।হাতের রেখা মোর বদলে দিয়ে ভাগ্য করেছো প্রসন্ন।আমি ধন্য হয়েছি ওগো ধন্য তোমারি প্রেমের জন্য। আচল দিয়ে বেধে রেখো এই সংসারের চাবি।তোমার মনে রেখো আমার ভালোবাসার দাবি।আষাঢ় শ্রাবণ নয় প্রেমের প্লাবনে দুটি হৃদয় হলো পুর্ণ। আমি ধন্য হয়েছি ওগো ধন্য, তোমারি প্রেমের জন্য।
আমি শুধু তোমাকে ভালবাসি। অনেক আধার আমাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করেছে।নীল হয়েছে আমার শিরা উপশিরা তবুও,তবুও আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসি। তোমাকেই শুধু তোমাকে।রুদ্র মোঃ শহীদুল্লাহ।
নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি।জীবনে তুমি মরনেও তুমি।তুমি তুমি তুমি শুধু যে তুমি।স্বয়নে তুমি স্বপ্নে ও তুমি অন্তরে তুমি বাহিরে ও তুমি।তুমি তুমি তুমি শুধু যে তুমি।
দুঃখ কষ্টের এই জীবনে ভালোবাসার মতো শক্তি যদি না থাকে, তাহলে জীবনের অগ্রগতি কিভাবে হবে?সবার জীবনে প্রিয়জনের ছোঁয়া,উৎসাহ,ভালোবাসা যেন অদম্য এক শক্তি।এই শক্তি পুঁজি করে জীবনের পথচলা।ভালোবাসার কষ্ট যেমন জীবনের চলার পথে বাধাগ্রস্থ করে,তেমনি ভালোবাসার ছোঁয়ায় লক্ষ্যবস্তকে অর্জন,সে এক মহা প্রাপ্তি।
যারা আমাকে প্রেম থেকে শুরু করে,আজকের এই পর্যন্ত সাহায্য করেছেন,তারা হলো সামছুন নাহার খালা,গোলাপ মামা,হান্নান মামার বউ,রফিক মামার বউ,ছাত্তার মামার বউ।আয়েশার স্কুলের শিক্ষক জয়নাল স্যার,স্যার বিয়ের দিন আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন।
সিলেট থেকে আমার প্রিয় স্যার মাইনুল স্যার।তিনি ছাড়াও তিন জন ছাত্র
আমাদের এম.সি.কলেজ ছাত্রাবাসের সাবেক ছাত্র Minhajul Islam Jayed স্যার,বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শায়েস্তাগঞ্জ , হবিগঞ্জ।( ২৮ তম বিসিএস)
বি এম আবুল মিয়া স্যার, বর্তমানে রুপালী ব্যাংক লি, সুনামগঞ্জ কর্পোরেট শাখার ম্যানাজার।
মোঃ জিয়াউর রহমান স্যার,হবিগঞ্জ সদরের ওসি (তদন্ত)
বিশেষ করে আমার প্রিয় ছোট ভাই।মোঃ জামাল হোসেন,মোহাম্মদ হোসেন।এছাড়াও বন্ধু আমির হোসেন,আবু সায়েম।এবং Dhu Habib,Mokbul Sani।আরো অনেকে সবার নাম লিখতে পারিনি বলে,আমি ক্ষমা চাচ্ছি।
বিশেষ বিশেষ করে বিয়ের পর অনেক জিনিসপত্র কিনেছি আমি।আমাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করেছেন ছাত্রাবাসের ঈমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল খালিক আনসার ভাই।যে কোন জিনিস কিনতে আমার অনেক টাকা লেগেছে, কিন্তু আমার বেতন এতো ছিলো না।আনসার ভাই আমাকে অনেক টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছেন।সে টাকা আমি কয়েক মাসে দিয়েছি অল্প অল্প করে।আনসার ভাইয়ের উপকারও ভুলার নয়।
আমার প্রেমের ইতিহাস লেখা শেষ হবে না।তারপরও শেষ করতে হয়।আপনারা আমাদের জন্য ও আমাদের ছেলে-মেয়ের জন্য দোয়া করবে।আমি যেমন এক সময় স্কুলে ১ নাম্বার ছাত্র ছিলাম।শুধু স্কুলে নয় মসজিদেও যখন কোরআন শরীফ পড়তাম সেখানেও ১ নাম্বার ছাত্র ছিলাম।রোল নং ১ ছিল।আমার বউ সেও এক সময় স্কুলের ১ নাম্বার ছাত্রী ছিল।রোল নং ১ ছিল।ছেলে-মেয়ে যেনো আমাদের মত হতে পারে।আমার ছেলে সিয়াম ৬ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে।আর মেয়ে ব্র্যাক স্কুলে ১ম শ্রেণীতে পড়ে।।আরো দোয়া করবেন,আমরা যেন সৎ পথে থেকে সততা,বিশ্বাস আর সকলের ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি।আমিও আপনাদের জন্য দোয়া করি সর্বদা ভাল থাকেন,সুস্থ থাকেন এবং সুন্দর যেন হয় আপনাদের জীবন।
বরাবরের মত শেষ কথা লিখে ও একটা গানের কলি লিখে শেষ করছি।(বিশ্বাসে সম্পর্ক মুজবুত হয়।
মান্নান+আয়েশা (১৯৯৯-২০২১)
আমার মত এত সুখী নয় তো কারো জীবন।কি আদর স্নেহ ভালবাসায় জড়ানো মায়ার বাধঁন।জানি এ বাধঁন ছিঁড়ে গেলে কভু,আসবে আমার মরণ।আমার মত এত সুখী নয় তো কারো জীবন।
আল্লাহ হাফেজ।।।
ক্যাপ্টেন মান্নান।
CM7
https://captainmannan.blogspot.com
https://www.facebook.com/MannanCM7/
https://twitter.com/MannanCM?s=07
Instagram/mannancm7
https://www.linkedin.com/in/md-abdul-mannan-85a4811b3
www.youtube.com/Md Abdul Mannan Manna
mannan.mch@gmail.com
Comments
Post a Comment